।।মো. আকরাম হোসেন।।
বইমেলার ২২তম দিনে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বেচাবিক্রিও হচ্ছিল বেশ। গতকালের মতোই জমজমাট ছিল বইমেলা।
শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এদিন বাংলা একাডেমির শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। হঠাৎ করেই তীব্র বাতাসের সাথে শুরু হয় বৃষ্টি।
এ সময় স্টলের বিক্রয়কর্মীরা পলিথিন দিয়ে বই মোড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাঠক-দর্শনার্থীরা খুঁজছিলেন নিরাপদ আশ্রয়।
এর আগে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় “কায়কোবাদের সাহিত্যে ‘শ্মশানে’র চিত্রাবলি” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমরান কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন হাবিব আর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন আবু দায়েন।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক হাবিব আর রহমান এবং কবি আমিরুল মোমেনীন মানিক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মালেক মুস্তাকিম, কবি ড. শাহনাজ পারভীন, কবি মোশাররফ হোসেন খান এবং কবি মমতাজ রহমান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী লায়লা পারভীন কেয়া, নায়লা তারাননুম চৌধুরী এবং শাহিদা পারভীন রেখা।
বইমেলার ২২তম দিনে নতুন বই এসেছে ১১৪টি। গতকাল শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ৩০৭টি। এ নিয়ে এবারের বইমেলায় প্রকাশ হওয়া নতুন বইয়ের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৩৬১টিতে।
শনিবার বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দফতরের ও বইমেলার তথ্যকেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এবারের বইমেলাতে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি। মোট ইউনিট ১০৮৪টি। মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু চত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি।
আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘গণ-অভ্যুত্থান ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শাওলী মাহবুব এবং মুশাররাত শর্মি হোসেন এবং সভাপতিত্ব করবেন রেহনুমা আহমেদ।