।।বিকে রিপোর্ট।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে করা হত্যা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি রাতে দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার ও বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। যার সর্বশেষ কর্মসূচী আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি: সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।
সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী আওয়ামীলীগ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে হরতাল সংক্রান্ত আপডেট ঘোষনা করে।
ফেসবুক পোষ্টে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, একটি মতলবি কুচক্রী মহল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ হরতালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নাশকতা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
এটা নিয়ে কেউ কেউ নীলনকশা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ দেশের জনগণকে এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় হরতাল কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো প্রকার সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না।
তবে হরতাল সফল করার জন্য এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষকে ধারণ করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
হরতালের আওতামুক্ত প্রসংগে পোষ্টে বলা হয়-
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কিছু বিষয় হরতালের বাইরে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই নীতির আলোকে বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন বিভাগের গাড়ি আর অ্যাম্বুলেন্সসহ জনগণকে জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থার গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়াও চিকিৎসক, সাংবাদিকদের গাড়িসহ খাদ্যপণ্য পরিবহনকারী গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
সবশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুনরায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে হরতাল সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ফেসবুক পোষ্টে।