ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্কের মেয়ে

  • আপলোড টাইম : ০৭:০১ এএম, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য-সমাপ্ত নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ময়দানে নেমেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিজের কোনো ভবিষ্যৎ দেখছেন না তার ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে। এর জন্য ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা তাঁর ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এনডিটিভি’র।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ২০ বছর বয়সী ভিভান জেনা উইলসন ২০২২ সালে বাবা মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ওই সময় তিনি জেন্ডার রূপান্তর (ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া) ও নিজের নাম পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। পরে নামও বদলে নিয়েছেন। সর্বোপরি, বাবা ইলন মাস্কের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।

মাস্কের মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের ভবিষ্যৎ না দেখলেও। ইলন মাস্ক ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক ছিলেন এবং নির্বাচন তিনি ট্রাম্পের হয়ে ব্যাপক টাকা বিতরণ করেন।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে একটি পোস্ট দেন মাস্কের মেয়ে জেনা উইলসন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভাবনাচিন্তার মধ্যে ছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি মনস্থির করে ফেলেছি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না।’

ইলন মাস্ক ও তার প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ঘরে ছয় সন্তান। তাদেরই একজন জেনা। রূপান্তরিত নারী জেনা আগে ছেলে ছিলেন। এর আগে জেনা তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি থেকেও না থাকার মতো। তার রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) হওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিচ্ছেন না।

ইলন মাস্ক ও তাঁর প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ঘরে ছয় সন্তান। তাঁদেরই একজন জেনা। রূপান্তরিত নারী জেনা আগে ছেলে ছিলেন।এদিকে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পেছনে বেসরকারি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘নব্য মার্ক্সবাদীদের’ দায়ী করেন মাস্ক।

জীবনীকার ওয়াল্টার ইসাকসনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মাস্ক দাবি করেছিলেন, সান্তা মনিকা শহরের ক্রসরোডস স্কুল ফর আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসই জেনা উইলসনের মাথায় ওই ‘ভাইরাস’(ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার ইচ্ছা) ঢুকিয়েছে।

মেয়ে সম্পর্কে মাস্ক বলেন, ও পুরোপুরি সাম্যবাদী হওয়ার জন্য সমাজতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয় এবং ভাবতে থাকে যে ধনী মানেই খারাপ।

মাস্কের দাবি, প্রথম সন্তান নেভাডার মৃত্যুতে যতটা না কষ্ট পেয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন মেয়ে জেনা উইলসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে। তিনি বলেন, আমি কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না।

রক্ষণশীল চিন্তাবিদ জর্ডান পিটারসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবার মাস্ক সাংঘর্ষিক কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়েছি’ এবং উইলসন ‘মৃত’।

এদিকে এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনা বলেন, প্রায় চার বছর তিনি বাবার সঙ্গে কথা বলেননি।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech