।।বিকে রিপোর্ট।।
‘সুদৃঢ় ঐক্যই রুখে দিতে পারে সকল ষড়যন্ত্র’- এই স্লোগানে দীর্ঘ ৭ বছর পর বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সভায় অংশ নিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূলের সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে সভা শুরু হয়। শুরুতে ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজার কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বর্ধিত সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভার উদ্বোধন ও সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সব মহানগর, জেলা, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা রয়েছেন।
এর বাইরেও বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত আছেন।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ও মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক যে প্রার্থী প্রাথমিক চিঠি পেয়েছিলেন, তারাও এই সভায় অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, সভায় সারাদেশ থেকে সাড়ে ৪ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবেন।
সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমাদের শেষ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এই প্রমাণ্যচিত্র তৈরি করেছে ‘বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন মিডিয়া উপ-কমিটি’। এছাড়া বর্ধিত সভা উপলক্ষ্যে আমরা বিএনপি পরিবার ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য সকালের নাস্তা, দুপুরে খাবার, বিকেলের নাস্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকবে চা-কফির ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রয়ারি রাজধানীর ‘লা মেরিডিয়ানে’ বিএনপির বর্ধিত কমিটির সভা হয়। যেখানে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। এর ৪ দিন পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার।