বড় মূলধনীর শেয়ারে ভর করে সামান্য বাড়লো সূচক

  • আপলোড টাইম : ০৭:৩৭ পিএম, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দরপতনের বৃত্ত থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। তবে গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, ম্যারিকো, বাটা সু, বার্জার পেইন্টের মতো ভালো ও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্যসূচক সামান্য বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচক কমেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখির দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে লেনদেনের একপর্যায়ে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

বাজারের এ পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বেশিরভাগ বহুজাতিক ও ভালো কোম্পানি। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্যে মূল্যসূচক সামান্য বেড়েছে। ডিএসইতে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৩টির দাম কমেছে।

আর সব মিলিয়ে ডিএসইতে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে এবং ২১৯টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এছাড়া ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও সূচকের উত্থান-পতনে বড় ভূমিকা রাখা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৯৪ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৪ কোটি ১৬ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফারইস্ট নিটিং, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ওরিয়ন ইনফিউশন, এনআরবি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, রবি এবং লাভেলো আইসক্রিম।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২১টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ১ লাখ টাকা।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech