পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা এ হামলা চালান। হামলায় গুরুতর আহত এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতারকে উদ্ধার করে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আইন, বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবে কাম্য নয়। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এলআরএফের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার রায় হয় হাইকোর্টে। রায়ের পর আইনজীবীদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিলেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। সে সময় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর জন্য ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধাক্কাধাক্কির সময় এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। একপর্যায়ে ২০-২৫ জন জাবেদ আখতারকে লাথি, কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তাদের মারধরের শিকার হন সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম পান্নু, সিনিয়র সাংবাদিক হাসান জাবেদসহ বেশ কয়েকজন। ভাঙচুর করা হয় টেলিভিশনের মাইক্রোফোনও। এসময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিক জাবেদ আখতারকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাম্বুলেন্সে করে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকরা ব্রিফিং বর্জন করে অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। আর হামলার ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।