৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর : আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের নির্যাতনের রাজনীতির নির্মম পরিণতি

  • আপলোড টাইম : ১২:৫৮ এএম, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

‘কি নির্মম পরিণতি- ১৫ বছরের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস, ভোট অধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, লাখ লাখ কোটি টাকা অর্থপাচার এবং জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা করে আত্মউপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, অনুশোচনা না করে, হাজার হাজার আনুশক পঙ্গু করে, শত শত মানুষকে অন্ধ করে ক্ষমা না চেয়ে আবার বিদেশে বসে এখন আন্দোলনের ডাক দিলে আর কি পরিণতি হতে পারে?

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের খবরের স্ক্রিনশট দিয়ে ক্যাপশনে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ভাঙচুরকে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের নির্যাতনের রাজনীতির নির্মম পরিণতি হিসেবে বর্ণনা করে, হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, ভোটাধিকার হরণসহ বিগত ১৫ বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তার অভিমত, আওয়ামী লীগ জনরোষে পড়ার পরও শোধরায়নি, তারই পরিণতি ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর।

পোস্টটি কাদের উদ্দেশে করেছেন, তা জানিয়ে সোহেল তাজ লিখেছেন, গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগ এর চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি আরও লেখেন, নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই-আমি আপনাদের চিনি।’

ফেসবুক অনুসারীদের উদ্দেশে সোহেল তাজ লিখেছেন, আওয়ামী লীগের ব্রেন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের বলব, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজটি আনফলো করুন।

নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি, আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করুন, যোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রথমে আগুন লাগিয়ে এরপর তা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। তবে সে পদে বেশিদিন ছিলেন না তিনি। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকে সরে যান তাজ।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech