মো:মাহবুবুল বাসেত।।
আমরা আইন উপদেস্টা জনাব আসিফ নজরুলের কাছ থেকে
জানতে চাই তিনি এই ধরনের কথা বলেছেন কিনা বা
এটি তার বক্তব্য কিনা।
এটি আইনের শাসন পরিপন্হী কথা এবং আদালতের
বিচার কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
জামিন দুই প্রকার:
(১)জামিনযোগ্য ধারায় জামিন প্রাপ্তির বিষয অভিযুক্ত ব্যক্তির
বা আসামীর অধিকার্ আদালত তাকে জামিন দেবনা-
এ কথা বলতে পারবেন না-বিনা কারনে।
(২) জামিন অযোগ্য ধারায় জামিন প্রাপ্তির বিষয়টি
অধিকারের পর্যায়ে পড়বেনা।এটি আদালতের স্বেচ্ছাধীন বিষয।
আদালত ইচ্ছা করলে নানাদিক বিবেচনায় নিয়ে (বয়স,শারিরীক অবস্হা,
মামলার মেরিট,জামিন নিয়ে আসামীর পলায়নের মনোবৃত্তি) জামিন দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারেন। সকল ক্ষেত্রেই সংক্ষুব্দ পক্ষের উচ্চ আদালতে যাওয়ার অধিকার/সুযোগ রয়েছে। কোন মন্ত্রী বা উপদেস্টা কি করে বলেন আদালতকে-”আপনারা হুটহাট করে জামিন দেবেন না”।
এটাতো আদালতের বিচার কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
এটাতো আদালত অবমাননাকারী অপরাধ।
দেশের একজন সিটিং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেওতো আপীল বিভাগ
আদালত অবমাননার রুল জারী করে বিচার কাজ শেষে
করে তার বিরুদ্ধে রায়ও দিয়েছেন-উল্টা পাল্টা কথা বলার কারনে।।
সাধারন নাগরিকরা বিজ্ঞ আইন উপদেস্টার এই ধরনের
আচরনে কি বার্তা পাচ্ছেন?
অধম্হন থেকে উচ্চ আদালত-ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ব্যাপারে
মানুষের মধ্যে সন্দেহ সংশয়ের সৃস্টি হবে না বা হযনি?
আমি ধীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবত আইন,বিচার ও সংসদ বীটও
কভার করছি সাংবাদিক হিসাবে। আমি কোন সামরিক শাসককেও
কোনদিন এই ধরনের কথা বলতে শুনিনি।
জনাব আসিফ নজরুল প্লিজ,
জনমনের এই বিভ্রান্তি দুর করুন।
আমি অসুস্হ।
তিনজন আমাকে অনুরোধ করেছেন বিষযটি নিয়ে লেখার জন্যে।
আমি বিবেকের তাড়নায় বাধ্য হলাম কলম ধরতে।
একটি সরকারের পতনের পর সবে মাত্র বিচার প্রত্রিুয়া শুরু হয়েছে।
এর মধ্যেই বিচার প্রত্রিযা প্রশ্ন বিদ্ধ হযে পড়লো-আহ হা।
( আমার এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষনের অধিকার সবারই রয়েছে এবং
আমার কথাগুলোর সাথে একমত হতে আমি কাউকে বাধ্য করছিনা)
লেখক:
সিনিয়র সাংবাদিক ও আইনের শাসনে
বিশ্বাসী নাগরিক ও ভোটার)