যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালিত

  • আপলোড টাইম : ১০:১১ এএম, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের ও মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে।  

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগি আর দোয়ার মধ্য দিয়ে এ রাত কাটিয়েছেন। আজ সরকারী ছুটি।

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের পর থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বড় ছোট সব মসজিদে মুসল্লিরা হাজির হয়েছেন। অনেকেই সারারাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়েছেন।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে সব পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে এবং আগামীদিনের রহমত ও বরকত কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত, নফল নামাজ আদায়সহ পবিত্র লাইলাতুল বরাতের এবাদত বন্দেগীতে মসগুল ছিলেন দেশে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীয়ানগণ।

কেউ বাড়িতে থেকে নফল নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোরআন তিলাওয়াত করছেন। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেছেন। সারারাত নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মোনাজাত করেন রাতের শেষ প্রহরে।

শবে বরাত উপলক্ষে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাড়া-মহল্লার মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসবের অমেজ তৈরি হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও দেখা গেছে।

পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে মাংস, হালুয়া, রুটিসহ নানান উপাদেয় খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে। এসব খাবার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়।

সন্ধ্যার পর থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হতে থাকেন। সারাদেশেই মসজিদগুলোতে ইবাদতের পাশাপাশি এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়।

ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ মুক্তি। আজ সেই মুক্তির রাত লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত আজ শুক্রবার মুক্তির রজনী হিসেবে পালন করে মুসলিম উম্মাহ। ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরানসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি, উর্দু, বাংলা, হিন্দিসহ নানান ভাষায় এটি ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।

পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবে বরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech