।।বিকে রিপোর্ট।।
ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে সব রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একেক দলের আলাদা আলাদা মতাদর্শ বা রাজনীতি থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রশ্নে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- বলেছেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় জমজম কনভেনশন হলে জুলাই রেভিউলেশনারী অ্যালায়েন্স (জেআরএ) আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশের দিগন্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি আমাদের একটা আদর্শ আছে, জামায়াতে ইসলামীর আলাদা একটা আদর্শ থাকতে পারে, অন্য যারা রাজনীতি করছেন তাদের আলাদা আদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু সবার সামনে মূল বিষয়টা হওয়া উচিত বাংলাদেশ।
জুলাইয়ে যারা রক্ত দিয়েছে, তাদের রক্ত যদি ব্যর্থ হয় তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। আমাদের পাশের দেশ ভারতের মতো একটা বিশাল শক্তি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য চেষ্টা করছে, ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। আগামী দিনে যাতে আমরা একটি কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়তে পারি সেজন্য আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। যাতে আমরা সুশাসন দিতে পারি, আমরা যেন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি। বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে কেউ কেউ বলছেন। আমার তা মনে হয় না।
আমরা স্পষ্ট বলেছি, আমরা আগামী নির্বাচনে যদি এককভাবে জয়লাভ করি তবুও এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাব না। সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। আমার মনে হয় জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় আকাঙ্খা এটি।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, আবার যদি জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে কেউ বেঈমানী করতে চায়, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়, পেশিশক্তির রাজনীতি শুরু করতে চায় অথবা যা খুশি তা করতে চায় আবারও ছাত্র-জনতা জুলাই বিপ্লবের মতো ভয়ঙ্কর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে তরুণরা গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছে, এই দেশে আর পেশিশক্তির রাজনীতি চলবে না। কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী, কোনো একটা রাজনৈতিক দল এ বিপ্লবের জিম্মাদার নয়। সবাইকেই এটি ধারণ করে আগামীর পথ চলতে হবে। তবে ছাত্ররা মূল চালিকাশক্তি ছিল এই আন্দোলনে। তাদেরকে মূখ্য ভূমিকার ক্রেডিট দিতেই হবে।
জেআরএ’র মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা কামরুল হাসান। শুরুতে সংগঠনটির কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্য লাবিব মুহান্নাদ।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে উত্তরায় যেসব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ছাত্র-জনতার প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করেছিল তেমন চার প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হসপাতাল, হাই-কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা সম্মাননা গ্রহণ করেন।