।।বিকে রিপোর্ট।।
এখনও ফ্যাসিস্টের দোসররা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ভুলে দেশ ও জাতির স্বার্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে- বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল-সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্রের জন্য, আমার মুক্তির জন্য নিরন্তন সংগ্রাম করেছেন এবং অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, প্রায় সোয়া লাখ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে এখনও ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। আপনাদের এ ত্যাগ শুধু দল নয় জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের পর একত্রিত হতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করছি। সেই সাথে জুলাই বিপ্লবসহ ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে যারা শহিদ হয়েছেন এবং সম্প্রতি জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদী শাসকদের নির্মম-ভয়াবহ দমননীতির কারণে গণহত্যায় যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিত সমবেদনা।
তিনি আরও বলেন, আমি চিকিৎসার কারণে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও সবসময় আপনাদের পাশেই আছি। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে আরও উজ্জীবিত হয়ে আগামী নির্বাচন সাফল্যের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
আমার অবর্তমানে তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করেছে। এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে আপনাদের এত দিনের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ বিফলে যায়। আমাদের সবসময় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই উক্তি মনে রাখা দরকার, “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ”।
দেশ এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে-এ কথা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ন্যূনতম সংস্কার শেষে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।
ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়-এ কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভেদ ভুলে এক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টরা এখনও জুলাই আন্দোলনের অর্জনকে নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সবাইকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে একহয়ে এসব চক্রান্তকে রুখে দিতে হবে। দলকে পূর্বের ন্যায় নেতৃত্ব প্রদানে সুসংহতভাবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিহিংসা নয়, ভাতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে বাসযোগ্য উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় গড়ে তুলতে হবে।