বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা আগেও অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় গিয়েও ইতিবাচক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আমরা দুই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই এবং সম্পর্ক আরও ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে চাই। এ অবস্থান আমাদের অপরিবর্তিত – বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলাপকালে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে এসব কথা বলেন। খবর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই নিউজের।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যার জেরে ১২ জানুয়ারি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জবাবে পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছিল ভারত।
এ বিষয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে প্রশ্ন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ফেডারেল সম্পর্ক চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বাংলাদেশের এবং ভারতের জনগণের জন্য ভালো হোক। এটাই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ মাসের শুরুতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দেয়- সে বিষয়ে জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়।
দিল্লি কর্তৃক ঢাকার রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের ওই কূটনীতিক বলেন, আমরা ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে সীমান্তে বেড়া দেয়ার বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যা বলেছি তা আবারও বলছি, আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম, পাচার, কাঁটাতারের বেড়া, লাইট ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশুর চোরাচালান রোধ করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত চাই আমরা।
এ বিষয়ে ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে চলতি মাসের শুরুতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানালে নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এসময় ভারত দাবি করে, তারা আগের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে। তবে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে।