অমর একুশে বইমেলা ২০২৫- এর দশম দিন আজ।
প্রথম দিকে জনসমাগম কম হলেও ধীরে ধীরে জমজমাট হয়ে উঠছে বইমেলা। নতুন নতুন বই আসছে প্রতিদিন। গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাসসহ বিভিন্ন ধারার বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকরা। পাঠক-পাঠিকারা স্টলে স্টলে গিয়ে পছন্দের বই কিনছেন।
উম্মে হানি নামে এক পাঠিকার সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। কী কী বই কিনলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইমেলার ৮২০-২১ নং স্টল ‘বাংলার প্রকাশন’ থেকে একটি গল্পের বই কিনেছি। নামঃ কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়। লেখক রূপক বিধৌত সাধু। আরও কয়েকটা বই কিনব।
মেলার পরিবেশ কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবেশ মোটামুটি ভালো। তবে লোকজন বই কেনার চেয়ে ঘোরাঘুরিতে বেশি মনোযোগী মনে হচ্ছে।
কথা হয় তমাল কর্মকার নামে আরেক পাঠকের সাথে। বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, বই প্রকাশ এখন সহজ হয়ে গেছে। অনেকে অখাদ্য-কুখাদ্য ছাপিয়ে বসেন। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলের সামনে কথা হয় খায়রুল বাশার আশিক নামে জনৈক লেখকের সঙ্গে। তার কী বই এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিপাতের দিনলিপি’ নামে একটি বই এসেছে আমার। মূলত ‘২৪- এর ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে লেখা এই বইটি। বইটি মেলার ৫৬০ নম্বর স্টল অথবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
উৎসব প্রকাশনের কর্ণধার সাঈদ আহমদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রথম দিকে পাঠক-উপস্থিতি কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিক্রিও মন্দ না। আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে পাঠক-উপস্থিতি আরও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান স্টল পেয়েছে। গত বছর বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ৬৪২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং শিশু চত্বরে এবার ৭৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ১২০টি ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল নতুন বই এসেছে ৯৭টি। সংস্থাটি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত উপন্যাস এসেছে ২৫টি।
অমর একুশে বইমেলার দশম দিনে আজ মেলা শুরু হয়েছে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।