ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ে রহস্য এখনো কাটেনি। ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরের নিচে আরও চারটি ফ্লোর রয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে। যা ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এবার সেই পনি সেচার জন্য কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। বাড়িটির বেজমেন্টে জমে থাকা পানি তুলতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। চারটি সেচ মেশিন আনা হয়েছে।
নির্মাণাধীন ভবনের নিচে আয়নাঘর আছে এমন সন্দেহে আজও ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ। পানির নিচে কি থাকতে পারে তা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা।
কেউ কেউ বলছেন, নিচে চারটি ফ্লোর কোনো গোপন আটককেন্দ্র নয়, বরং এগুলো গাড়ির গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে ভবনটির এ ফ্লোরগুলোর একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এ নিয়ে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা ও এর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এমনকি উৎসুক জনতা ওই পানির মধ্যে নেমে দেখার চেষ্টা করেন কি আছে!
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরের নিচে আরও চার থেকে পাঁচতলা রয়েছে। সেখানে পানি দিয়ে পূর্ণ থাকায় নিচে যেতে পারেননি তারা। এটি নতুন কোনো আয়নাঘর হতে পারে। জুলাই আন্দোলনের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে সেখানে রাখার জন্য এই আয়নাঘর বানানো হতে পারে বলে তার ধারণা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ডিজিএফআই, পুলিশ, র্যাবসহ বিশ্বস্ত প্রশাসনের আয়নাঘরের বাইরে দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা নতুন এ আয়নাঘর তৈরি করেছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে দাবি করা হয়, সেখানে মানুষের মাথার চুল, জুতা ও স্কুল ড্রেস পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
কেউ কেউ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানান।